জানা গেছে, বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তি অনুযায়ী তার ‘রিলিজ ক্লজ’ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ কোনও ক্লাব যদি এই মহারতারকাকে সই করাতে চায় তাহলে বার্সেলোনাকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। তারপর আলাদা করে মেসির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। যা এই মুহূর্তে বিশ্বের কোনও ক্লাবের পক্ষেই সম্ভব নয়।
তবে এখানে অন্য একটা সুযোগ আছে। বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হওয়ার কথা আগামী বছর জুন মাসে। আর চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শেষ হওয়ার এক বছর আগে ‘রিলিজ ক্লজ’ কমে হওয়ার কথা, ৩০০ মিলিয়ন ইউরোয়। যা কিনা এই মুহূর্তে অনেকগুলি ক্লাবের পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এছাড়াও মেসির চুক্তিতে আর একটি বিশেষ শর্ত রয়েছে। আর সূত্রের খবর, মেসির সঙ্গে সেই নিয়ে কিছুটা বিবাদ শুরু হয়েছে ক্লাবের।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর মৌশুম শেষ হওয়ার দিন অর্থাৎ ৩১ মে’র মধ্যে ক্লাবের কাছে আবেদন জানালে বার্সা তাকে ছেড়ে দেবে। ২০২০ সালে যা ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত। এখন মেসি সেই আবেদন জানালেও মানতে নারাজ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। আর তাই আর্জেন্টাইন তারকার আবেদন গ্রাহ্য হবে না। এদিকে, মেসির আইনজীবীর বক্তব্য, ৩১ মে নয়, করোনার কারণে চলতি বছরের ফুটবল মৌশুম শেষ হওয়ার কথা ৩১ আগস্ট। আর তাই মেসি এখনও আবেদন করতে পারেন। আর এই নিয়েই এবার দু’পক্ষের মধ্যে চলছে আলোচনা। চেষ্টা করা হচ্ছে সমস্যা সমাধানের।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই পরিস্থিতিতে মেসি ক্লাব ছেড়ে অন্য ক্লাবে সই করলে, তার বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারে বার্সা। সেক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী মেসির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে ফিফাও। সেক্ষেত্রে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আবেদন করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না লিও মেসির কাছে। যা আরও সময়সাপেক্ষ। তবে অনেকেই আবার মনে করছেন, দীর্ঘদিনের ভাল সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে মেসিকে রিলিজ করে দেবে বার্সেলোনা।